প্রেসক্লাবে দু’পক্ষ মুখোমুখি কাল
জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোটারবিহীন নবগঠিত কমিটি নিয়ে চরম অস্থিরতা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনকি গত ৫ জানুয়ারির মতো জাতীয় প্রেসক্লাবে বহিরাগতদের হামলার আশঙ্কাও করছেন কেউকেউ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেসক্লাব দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে’ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সমাবেশের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী তারা সমাবেশের প্রস্তুতিও নিয়েছেন।
এদিকে, আওয়ামীলীগ পন্থী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদক কুদ্দুস আফ্রাদ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফোরাম সভা‘ করার ঘোষণা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শওকত মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি যথাসময়ে পালিত হবে। প্রেসক্লাব দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের ধারক জাতীয় প্রেসক্লাব আজ চক্রান্তে আক্রান্ত। দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার নাম করে একশ্রেণীর সাংবাদিক অবৈধভাবে কমিটি গঠন করেছে। তারা এখন রুম দখল করে বসে আছে। এদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আগামীকাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, কুদ্দুস আফ্রাদ তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাবে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ডিউজে ও প্রেসক্লাব সদস্যদের ফোরাম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ফোরামের সাংবাদিক সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
অপরদিকে, সাধারণ সাংবাদিকরা দু’পক্ষের সমালোচনা করে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য উভয় দলকেই অনুরোধ করেছেন। সাংবাদিক সমাজের দুর্নাম হয় এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য উভয় পক্ষকে প্রেসক্লাব পরিচালনায় আরো গণতান্ত্রিক চর্চার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে প্রেসক্লাব এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সবসময় তৎপর থাকে উল্লেখ করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, সাংবাদিকদের নিজেদের ক্লাবের ভেতরে সভা-সমাবেশ করলে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তবে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত থাকবে পুলিশ।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর